বাংলাদেশের স্বনামধন্য আলেমে দ্বীন ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার
শিক্ষক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সৌদি আরবের রাজধানী
রিয়াদ আগমন উপলক্ষ্য আল ইমাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও কিং সউদ
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্রদের উদ্যোগে দুইটি সৌজন্য সমাবেশের
আয়োজন করা হয়।
গত ০২ নভেম্বর রোজ শনিবার আল
ইমামইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে
একটি সমাবেশঅনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে আলইমাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও কিং
সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের বাংলাদেশী ছাত্রগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের বাংলাদেশী শিক্ষক জনাব সমীর ভৌমিক ও
কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক জনাব মহসিন উপস্থিত
ছিলেন।
এছাড়া ০৪ নভেম্বর ২০১৩,রোজ সোমবার কিং সউদ
বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশী ছাত্র সমিতির উদ্যোগে আরোএকটি সমাবেশের আয়োজন করা
হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ
জাহাঙ্গীর, কিংসউদে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায়রত ৬ জন বাংলাদেশী শিক্ষক ও
বাংলাদেশী ছাত্রবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ছাত্র সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ
নূরুল্লাহ তারীফ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি গুরুত্বপূর্ণ
উপদেশমূলক বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য ড. জাহাঙ্গীর রিয়াদের আলইমাম ইসলামী
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. (অনার্স) থেকে শুরু করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন
করেছেন এবং দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর তিনি রিয়াদে প্রবাসী ছিলেন। তিনি যে বক্তব্য
রেখেছেন এর সারাংশ নীচে তুলে ধরা হলো।
পরাজিত মানসিকতা পরিহার করঃ
তিনি
তাঁর জীবন থেকে উদাহরণ টেনে বলেন, আমরা যখন এখানে পড়তে আসি তখন আমাদের
সাথে যে বন্ধুবান্ধব ছিলেন তাঁরা অনেকেই হীনমন্যতায় ভুগতেন। অনেকেই ভাবতেন,
এই পড়াশুনা করে কী হবে? দেশে ফিরে গেলে সনদের কোন মূল্যায়ন পাওয়া যাবে না,
চাকরি পাওয়া যাবে না।এই হীনমন্যতা থেকে তারা পড়াশুনায় মনোযোগী হতে পারতেন
না। তাদের অনেকে জীবনে সফল হতে পারেননি। আমাদের দেশে যারা মাদ্রাসায় পড়েন
বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী সাবজেক্ট নিয়ে পড়েন তাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা
কুরআন-হাদিসের পড়াশুনাকে নাক ছিটকান। স্যার, এগুলো পড়ে কি হবে? বিসিএসে কোন
কাজে আসবে না। ইসলাম সকল জ্ঞান অর্জনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। সকল জ্ঞানই
ভাল। সব পেশার মানুষের মুসলমানদের কল্যাণ করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু যাদের
কাছে কুরআন-হাদিসের জ্ঞান রয়েছে তারা মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ
করার সুযোগ পায়। কুরআন-হাদিসের জ্ঞান হচ্ছে- শ্রেষ্ঠ জ্ঞান। আল্লাহ যাকে এই
জ্ঞান অর্জন করার কিছু সুযোগ দান করেছেন সে যখন এই জ্ঞানকে
তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, হেয় করে তখন আল্লাহ সে ব্যক্তিকে চরমভাবে লাঞ্চিত
করেন, অপমানিত করেন। আল্লাহ সেই ব্যক্তির উপমা দিয়েছেন কুকুরের সাথে।
وَاتْلُعَلَيْهِمْ
نَبَأَ الَّذِي آَتَيْنَاهُ آَيَاتِنَا فَانْسَلَخَ مِنْهَافَأَتْبَعَهُ
الشَّيْطَانُ فَكَانَ مِنَ الْغَاوِينَ (175) وَلَوْ شِئْنَالَرَفَعْنَاهُ
بِهَا وَلَكِنَّهُ أَخْلَدَ إِلَى الْأَرْضِ وَاتَّبَعَ هَوَاهُفَمَثَلُهُ
كَمَثَلِ الْكَلْبِ إِنْ تَحْمِلْ عَلَيْهِ يَلْهَثْ أَوْ
تَتْرُكْهُيَلْهَثْঅর্থ-
“আর তুমি তাদের কাছে সে
ব্যক্তির সংবাদ পাঠ কর, যাকে আমি আমার আয়াতসমূহ দিয়েছিলাম। অতঃপর সে তা হতে
বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল এবং শয়তান তার পেছনে লেগেছিল। ফলে সে বিপদগামীদের
অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছিল। আর আমি ইচ্ছা করলে উক্ত নিদর্শনাবলীর মাধ্যমে
তাকে অবশ্যই উচ্চ মর্যাদা দিতাম, কিন্তু সে পৃথিবীর প্রতি ঝুঁকে পড়েছে এবং
নিজপ্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে। সুতরাং তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে- কুকুরের মত। যদি
তার উপর বোঝা চাপিয়ে দাও তাহলে সে জিহ্বা বের করে হাঁপাবে অথবা যদি তাকে
ছেড়ে দাও তাহলেও সে জিহ্বা বের করে হাঁপাবে।” [সূরা আল আরাফ,
আয়াত ১৭৫-১৭৬] বরঞ্চ তোমার ভবিষ্যতকে আল্লাহর উপর ছেড়ে দাও। আল্লাহর উপর
নির্ভর কর। তিনি তাঁর জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে বলেন আমাদের সহপাঠীদের মধ্যে
যে যা হতে চেয়েছেন আল্লাহ তার জন্য সে ব্যবস্থা করেদিয়েছেন। আল্লাহ কাউকে
ঠকাননি। যে সৌদি আরবে থেকে যেতে চেয়েছেন, তার সৌদি আরবে চাকরী হয়ে গেছে। যে
ব্যবসা করতে চেয়েছেন আল্লাহ তার ব্যবসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যে দেশে
ফিরে দাওয়াত ও ইলমের সেবা করতে চেয়েছেন আল্লাহ সে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং
দুনিয়ার শান-শওকত ও ধনদৌলতেও কম দেননি। সে জন্য নিয়্যতকে পরিশুদ্ধ কর।
আল্লাহর জন্য ইলম হাছিল কর।
ভাষা শিখার উপর গুরুত্ব দেয়াঃ
আরবীভাষা
শিখার উপর খুব গুরুত্ব দাও। আমাদের দেশের আলেমদের বড় সমস্যা তাঁরা ভাল
আরবী জানেন না। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন: মুসনাদে আহমাদে একখানা হাদিস আছে-
أَنَّ رَسُولَ الله صَلَّى الله عَلَيه وسَلَّم عَادَ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ (রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন অসুস্থ আনসারীকে দেখতে গেলেন)।
আমাদের দেশের একজন স্বনামধন্য আলেম এর অনুবাদ করেছেন- রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহিওয়া সাল্লাম এক আনসারীর কাছে ফেরত গেলেন। অর্থাৎ
عَادَ
শব্দটি আলাদা দুটো শব্দমূল থেকে এলে যে আলাদা দুইটি অর্থ প্রকাশ করে তা
তিনি পার্থক্য করতে পারেননি। অন্য এক আলেম একবার বলেন যে, আল্লাহ যে
মানুষের অন্তরে হুলুল (আবির্ভুত) হন তাতো কুরআনেও আছে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন
وَاعْلَمُواأَنَّ اللَّهَ يَحُولُ بَيْنَ الْمَرْءِ وَقَلْبِهِ অর্থাৎ তিনি বুঝাতে চাচ্ছেন এই আয়াতে
يَحُولُশব্দটি আবির্ভুত হওয়া অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অথচ আয়াতের অর্থ হচ্ছে-
“নিশ্চয় আল্লাহ মানুষ ও তার হৃদয়ের মাঝে অন্তরায় হন।”[সূরা
আল আনফাল, আয়াত ২৪] এইআলেম حَلَّ يَحُلُّ حُلُوْلاً (আবির্ভুত হওয়া) ও
حَالَ يَحُوْلُ حَوْلاً (অন্তরায় হওয়া) এ দুটোর মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করতে
পারেননি। তাই উভয়টাকে একই অর্থবোধক ভেবেছেন। এ ধরনের অনেক উদাহরণ পেশ করা
যায়। সে জন্য তোমাদেরকে ভাল আরবী শিখতে হবে। বিদেশী ছাত্রদের সাথে উঠাবসা
করতে হবে। আরবীতে কথাবার্তা বলতে হবে। যেন আরবী বলার যোগ্যতাও অর্জিত হয়।
মাতৃভাষা বাংলা শেখার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
وَمَاأَرْسَلْنَا مِنْ رَسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ (অর্থ-
আর আমি প্রত্যেক রাসূলকে তার কওমের ভাষাতেই পাঠিয়েছি।)
সব ধরনের বই পড়তে হবে। রবীন্দ্রনাথ,বঙ্কিম, শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায় সব পড়তে
হবে। কোন কিছু বাদ রাখা যাবে না। আমাদের দেশের আলেমদের বড় সমস্যা হলো
তাঁরা বাংলা ভাষা জানেন না। বর্তমানে আলেমগণ কিছু লেখালেখি করলেও বাংলা
সাহিত্যের উপর কোন আলেম বই লিখেছেন এমন পাওয়া যাবে না। কিছু আরবী,কিছু
উর্দু, কিছু ফার্সি মিশিয়ে কথা বললে বা লিখলে সেটা মানুষের বোধগম্য হয় না।
এমন ভাষায় বলতে হবে, লিখতে হবে যেন একজন বাংলাভাষী যিনি জীবনে কোনদিন
ধর্মীয় আলোচনা শুনেননি তিনিও যেন বুঝতে পারেন। অনুবাদ করতে এমনভাবে যাতে
পাঠক বুঝতেই না পারে এটা আরবী ছিল। আরবীটাকে বুঝে নিয়ে সম্পূর্ণ বাংলার
আঙ্গিকে এটাকে রূপান্তরিত করতে হবে।
বর্তমানে
ইংরেজী আমাদের ভাষারই একটা অংশ। ইংরেজী না শেখে কোন গত্যন্তর নেই। তাই
তোমাদেরকে ইংরেজী জানতে হবে। ইংরেজী শেখার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
ইলম অনুযায়ী আমল ও দাওয়াতি কাজ করাঃ
যা
তুমি শিখেছ সেটা আমল কর। যে হাদিস শুনেছ সেটা একবার হলেও আমল কর। তুমি যদি
আমল কর তাহলে আল্লাহ তোমার জন্য ইলমের দরজা খুলে দিবেন। যারা আল্লাহকে
পেতে চায় আল্লাহ তাদের জন্য পথকে সহজ করে দেন। নিয়তকে পরিশুদ্ধ কর।
তোমাদেরকে আমার ঘটনা বলি আমাদের সময়ে সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন
ছিল কোন বিদেশী ছাত্র অনার্স পাস করার পর তাকে অবশ্যই দেশে ফেরত যেতে হবে।
মাস্টার্সে পড়ার সুযোগ সে পাবে না। কিন্তু আল্লাহ তাআলা আমার জন্য
মাস্টার্সের ব্যবস্থা এমনভাবে করে দিলেন যা আমি কল্পনাও করতে পারি নাই। আমি
সুপারিশের জন্য যেসব শিক্ষকদের বলে রেখেছিলাম তারা আমাকে আশ্বাসও
দিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের সময় তাদের কাউকে পেলাম না। আমাদের ডীন ছিলেন এমন
একজন সাধাসিদে মানুষ যিনি কারো উপকারও করতে পারতেন না;ক্ষতিও করতে না। তাই
তাকে কিছুই বলিনি। কিন্তু এই মানুষটি একজন বিদেশী ছাত্রের মাস্টার্সে চাঞ্চ
পাওয়ার মতো দুর্সাধ্য কাজটি করলেন। তখন আমাকে একজন সৌদি বললেন, খন্দকার
তোমার নিয়্যত পরিশুদ্ধ ছিল সেজন্য তোমার চাঞ্চ হয়েছে। আসলে আমার নিয়্যত
পরিশুদ্ধ ছিল সেটা নয়। কিন্তু তাঁরা নিয়্যতের পরিশুদ্ধতাকে সফলতার মাপকাঠি
বিবেচনা করেন।
যা অর্জন করেছ সেটা প্রচার কর। মানুষকে
ভালবেসে, প্রেম দিয়ে দাওয়াত দিতে হবে। হয়তো তুমি এমন কোথাও দাওয়াত দিতে
গিয়েছ যারা অতি সাধারণ মানুষ। যারা সভ্যতা, ভদ্রতা খুব একটা জানে না। হয়তো
এমন কোন আচরণ করল যা তোমার ভাল লাগেনি। আসলেই অভদ্র আচরণ। তুমি যদি সে
ভাইকে তুচ্ছ না করে এভাবে চিন্তা কর, আলহামদু লিল্লাহ! আল্লাহ আমাকে জ্ঞান
দিয়েছেন, আমাকে এমন গর্হিত কাজ থেকে বিরত রেখেছেন এটি আমার প্রতি আল্লাহর
দয়া, তাঁর মেহেরবাণী। তাহলে তোমার মধ্যে অহংকার আসবে না। গুনাহগারকে হেয়
করো না। তা করলে তুমি দাওয়াতি কাজে সফল হতে পারবে না। সুযোগ পেলেই দাওয়াতি
কাজে বেরিয়ে পড়বে। পড়াশুনা শেষ করে তারপর দাওয়াতি কাজ শুরু করব -এমনটি নয়।
বরং লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে যখনই সুযোগ পাবে তখনই দাওয়াতি কাজ করবে। ছুটিতে
দেশে ফিরলে দাওয়াতি কাজ করতে পার। প্রবাসে যেসব ভাইয়েরা থাকেন তাদের ভিলাতে
গিয়ে দাওয়াতি কাজ করতে পার। সাংগঠনিকভাবে দাওয়াতি কাজ করতে পারলে অনেক
ভাল; সেটা না পারলে ব্যক্তিগতভাবেও করতে পার।
আলেমরাই অমরঃ
সফল
কে?সফলতা কী? দুনিয়ার শান-শওকত, জৌলুশ এটাই কী সফলতার মাপকাঠি। আমাদের
সমাজ যে মানুষগুলোর শান-শওকত, ধনধৌলত ও ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ, অনুরক্ত সে
লোকগুলোই যখন কোন আমলদার আলেমের সামনে হাজির হন তখন কেন যেন দুর্বল হয়ে
পড়েন। তার সব দম্ভ অহংকার বিলীন হয়ে যায়। কী অশান্তির মধ্যে তারা দিনাতিপাত
করছে সেটা আলেমদের কাছে প্রকাশ করে। সেজন্য শান্তি হচ্ছে- আল্লাহকে ভয়
করার মধ্যে। অমর হচ্ছেন- আলেমগণ। দেখ ইমাম নববী কতদিন তিনি বেঁচেছেন; মাত্র
৪০ বছর। এই সময়ে তিনি যে কীর্তি রেখে গেছেন সেজন্য গোটা উম্মাহ তাঁকে
স্মরণ করে, তাঁর জন্য দোয়া করে, তাঁর নামের বলার পর "আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম
করুন" উচ্চারণ করে। এমন কোন মুসলিম পাওয়া যাবে না যিনি ইমাম নববীর নাম
শুনেননি। তাঁর বই পড়েননি। সুতরাং তুমি যদি অমরত্ব চাও তাহলে আলেম হও। একজন
সাধারণ আলেম মারা গেলেও মানুষ ৫০/৬০ বছর এমনিতেই তাঁর নামের শেষে
রহিমাহুল্লাহ পড়ে।
সময়কে কাজে লাগাওঃ
সময়কে
কাজে লাগাও। প্রতিটি ঘণ্টা, মিনিট, সেকেন্ড হিসেব করে ব্যয় কর। প্রচুর
লেখাপড়া কর। আমাদের সময় আমি লাইব্রেরীতে পড়ে থাকতাম। লাইব্রেরী ছিল আমাদের
হোস্টেল থেকে অনেকদূরে। সেখানে পৌঁছতে অনেক কষ্ট হত। রাতদিন লাইব্রেরীতে
পড়ে থাকতাম। এমন কোন বই হয়তো বাদ ছিল না যেটা উল্টেপাল্টে দেখিনি। এতে করে
কেউ কোন বই খুঁজতে এলে আমি বলে দিতে পারতাম অমুক বইটি অমুক স্থানে আছে।
সেজন্য সময়কে কাজে লাগাও। আল্লাহ তোমাদেরকে তাওফিক দিন।