আর আমার
ছাহাবীগণ আমাকে যেভাবে অনুসরণ করছে, যেভাবে
আমল করছে, যে আক্বীদা পোষণ করছে, তোমরা
সেভাবেই আমার অনুসরণ করবে। সাথে
সাথে ইসলামের নামে নব আবিষ্কৃত বস্ত্ত থেকে দূরে থাকবে। আজকের
দিনে এই মতবিরোধপূর্ণ সমাজে যদি আমরা রাসূল (ছাঃ)-এর অনুসারী হতে পারি এবং ছাহাবীগণ যেভাবে কুরআন ও
হাদীছকে বুঝেছেন ও আমল করেছেন সেভাবে বুঝতে ও আমল করতে পারি, তাহলেই আমাদের মধ্যে ঐক্য সম্ভব।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইহুদী-নাছারাদের মত মুসলমান নামধারী একদল লোক কুরআনকে পরিবর্তনকরতে না পারলেও কুরআনের অপব্যাখ্যা করছে। রাসূলের নামে অসংখ্য জাল হাদীছ তৈরী করেছে। কিন্তু আল্লাহর কিছু বান্দা তাদের চক্রান্তের মোকাবিলায় হাদীছ বাছাই করে আমাদের সামনে ছহীহ হাদীছগুলি তুলে ধরেছেন। আমাদের উচিত কুরআনের সঠিক ব্যাখ্যা ও ছহীহ হাদীছ গ্রহণ করা। তাহলে আমাদের মাঝে মতভেদ মতপার্থক্য থাকবে না। আল্লাহ কুরআনে সব সমস্যার সমাধান দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, وَلاَ يَأْتُوْنَكَ بِمَثَلٍ إِلاَّ جِئْنَاكَ بِالْحَقِّ وَأَحْسَنَ تَفْسِيْرًا ‘তারাতোমার নিকট এমন কোন সমস্যা উপস্থিত করতে পারেনি, যার সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা আমি তোমাকে দান করিনি’ (ফুরক্বান ২৫-৩৩) । অন্য আয়াতে এসেছে, وَلَقَدْ ضَرَبْنَا لِلنَّاسِ فِي هَذَا الْقُرْآنِ مِن كُلِّ مَثَلٍ لَّعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ ‘আমি এ কুরআনে মানুষের জন্য সব দৃষ্টান্তই বর্ণনা করেছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে’ (যুমার ৩৯/২৭) ।
রাসূল (ছাঃ) প্রদত্ত কুরআনের ব্যাখ্যা ও তাঁর বাস্তব জীবনই হল ‘হাদীছ’ বা ‘সুন্নাহ’। এ কুরআন ও সুন্নাহকে অাঁকড়ে ধরার মাধ্যমেই রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীদের অনুসরণ করা হবেএবং মতবিরোধপূর্ণ সময়ে সঠিক পথ পাওয়া যাবে। বিদায় হজ্জের দীর্ঘ ভাষণের এক পর্যায় রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, وَقَدْ تَرَكْتُ فِيْكُمْ مَا لَنْ تَضِلُّوْا بَعْدَهُ إِنْ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ كِتَابُ اللهِ ‘আমি তোমাদের নিকট যা রেখে যাচ্ছি তা মযবুতভাবে ধরে থাকলে, আমার পরে কখনও তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না; আর সেটা হল আল্লাহর কিতাব’। [14] এখানে কিতাবুল্লাহ বলতে শুধু কুরআনকে ধরে রাখার কথা বলা হয়নি। হাদীছও মেনে চলতে হবে। কারণ কুরআনে রাসূলের অনুসরণ করার নির্দেশ আছে। ইনশাল্লাহ চলবে .............
একটি বিষয়
স্মর্তব্য যে, রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পূর্বেই
ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং ইসলামের মধ্যে কম-বেশী করার অধিকার কাউকে দেওয়া
হয়নি। বিদায় হজ্জের দিন আল্লাহ নাযিল করলেন, الْيَوْمَأَكْمَلْتُ
لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ
الإِسْلاَمَ دِيْنًا ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদেরদ্বীনকে
পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের
দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম’
(মায়েদা ৫/৩) ।অন্যত্র আল্লাহ বলেন, وَمَنْ
يََّبْتَغِ غَيْرَ الإِسْلاَمِ دِيْناً فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي
الآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
‘কেউ ইসলাম
ছাড়া অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনও গ্রহণযোগ্য হবে না এবং ক্বিয়ামতের
দিন সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (আলে
ইমরান ৩/৮৫) ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইহুদী-নাছারাদের মত মুসলমান নামধারী একদল লোক কুরআনকে পরিবর্তনকরতে না পারলেও কুরআনের অপব্যাখ্যা করছে। রাসূলের নামে অসংখ্য জাল হাদীছ তৈরী করেছে। কিন্তু আল্লাহর কিছু বান্দা তাদের চক্রান্তের মোকাবিলায় হাদীছ বাছাই করে আমাদের সামনে ছহীহ হাদীছগুলি তুলে ধরেছেন। আমাদের উচিত কুরআনের সঠিক ব্যাখ্যা ও ছহীহ হাদীছ গ্রহণ করা। তাহলে আমাদের মাঝে মতভেদ মতপার্থক্য থাকবে না। আল্লাহ কুরআনে সব সমস্যার সমাধান দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, وَلاَ يَأْتُوْنَكَ بِمَثَلٍ إِلاَّ جِئْنَاكَ بِالْحَقِّ وَأَحْسَنَ تَفْسِيْرًا ‘তারাতোমার নিকট এমন কোন সমস্যা উপস্থিত করতে পারেনি, যার সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা আমি তোমাকে দান করিনি’ (ফুরক্বান ২৫-৩৩) । অন্য আয়াতে এসেছে, وَلَقَدْ ضَرَبْنَا لِلنَّاسِ فِي هَذَا الْقُرْآنِ مِن كُلِّ مَثَلٍ لَّعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ ‘আমি এ কুরআনে মানুষের জন্য সব দৃষ্টান্তই বর্ণনা করেছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে’ (যুমার ৩৯/২৭) ।
রাসূল (ছাঃ) প্রদত্ত কুরআনের ব্যাখ্যা ও তাঁর বাস্তব জীবনই হল ‘হাদীছ’ বা ‘সুন্নাহ’। এ কুরআন ও সুন্নাহকে অাঁকড়ে ধরার মাধ্যমেই রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীদের অনুসরণ করা হবেএবং মতবিরোধপূর্ণ সময়ে সঠিক পথ পাওয়া যাবে। বিদায় হজ্জের দীর্ঘ ভাষণের এক পর্যায় রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, وَقَدْ تَرَكْتُ فِيْكُمْ مَا لَنْ تَضِلُّوْا بَعْدَهُ إِنْ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ كِتَابُ اللهِ ‘আমি তোমাদের নিকট যা রেখে যাচ্ছি তা মযবুতভাবে ধরে থাকলে, আমার পরে কখনও তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না; আর সেটা হল আল্লাহর কিতাব’। [14] এখানে কিতাবুল্লাহ বলতে শুধু কুরআনকে ধরে রাখার কথা বলা হয়নি। হাদীছও মেনে চলতে হবে। কারণ কুরআনে রাসূলের অনুসরণ করার নির্দেশ আছে।
0 comments:
Post a Comment