(জ) ওছমান ইবনু আবী শায়বা একদা
কয়েকজন আহলেহাদীছকে হয়রান অবস্থায় দেখে মন্তব্য করেন যে, إنَّ فَاسِقَهُمْ خَيْرٌ مِنْ عَابِدِ غَيْرِهِمْ
‘আহলেহাদীছের একজন ফাসিক্ব ব্যক্তি অন্য দলের একজন আবিদের
চেয়েও উত্তম’। [34]
(ঝ) ইমাম আহমাদ ইবনু তায়মিয়াহ (৬৬১-৭২৮ হিঃ) বলেন,
مِنَ الْمَعْلُوْمِ لِكُلِّ مَنْ لَهُ خِبْرَةٌ أَنَّ أَهْلَ الْحَدِيْثِ مِنْ أَعْظَمِالنَّاسِ بَحْثًا عَنْ أَقْوَالِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ وَ طَلَبًا لِّعِلْمِهَا وَ أَرْغَبِ النَّاسِ فِىْ اِتِّبَاعِهَا وَ أَبْعَدِ النَّاسِ عَنِ اتَّبَاعِ هَوًى يُخَالِفُهَا ... فَهُمْ فِىْ أَهْلِ الْإِسْلاَمِ كَأَهْلِ الْإِسْلاَمِ فِىْ أَهْلِ الْمِلَلِ ـ
‘যার কিছুটা অভিজ্ঞতা রয়েছে, তার এটা জানা কথা যে, আহলেহাদীছগণ হ’লেন, মুসলমানদের মধ্যে রাসূলুলাহ (ছাঃ)-এর বাণীসমূহের ও তাঁর ইল্মের অধিক সন্ধানী ও সে সবের অনুসরণের প্রতি অধিক আগ্রহশীল এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ হ’তে সর্বাধিক দূরে অবস্থানকারী, যার বিরোধীতা সে করে থাকে।... মুসলমানদের মধ্যে তাদের অবস্থান এমন মর্যাদাপূর্ণ, যেমন সকল জাতির মধ্যে মুসলমানদের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান’। [35]
(ঝ) ইমাম আহমাদ ইবনু তায়মিয়াহ (৬৬১-৭২৮ হিঃ) বলেন,
مِنَ الْمَعْلُوْمِ لِكُلِّ مَنْ لَهُ خِبْرَةٌ أَنَّ أَهْلَ الْحَدِيْثِ مِنْ أَعْظَمِالنَّاسِ بَحْثًا عَنْ أَقْوَالِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ وَ طَلَبًا لِّعِلْمِهَا وَ أَرْغَبِ النَّاسِ فِىْ اِتِّبَاعِهَا وَ أَبْعَدِ النَّاسِ عَنِ اتَّبَاعِ هَوًى يُخَالِفُهَا ... فَهُمْ فِىْ أَهْلِ الْإِسْلاَمِ كَأَهْلِ الْإِسْلاَمِ فِىْ أَهْلِ الْمِلَلِ ـ
‘যার কিছুটা অভিজ্ঞতা রয়েছে, তার এটা জানা কথা যে, আহলেহাদীছগণ হ’লেন, মুসলমানদের মধ্যে রাসূলুলাহ (ছাঃ)-এর বাণীসমূহের ও তাঁর ইল্মের অধিক সন্ধানী ও সে সবের অনুসরণের প্রতি অধিক আগ্রহশীল এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ হ’তে সর্বাধিক দূরে অবস্থানকারী, যার বিরোধীতা সে করে থাকে।... মুসলমানদের মধ্যে তাদের অবস্থান এমন মর্যাদাপূর্ণ, যেমন সকল জাতির মধ্যে মুসলমানদের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান’। [35]
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত কারা এ প্রশ্নের জবাবে শায়খ মুহাম্মদ বিন ছালিহ আল-উছায়মীন (রহঃ) বলেন, ‘আহলে সুনণাত ওয়াল জামা‘আত তারাই, যারা আক্বীদা ও আমলের ক্ষেত্রে সুন্নাতকে অাঁকড়ে ধরে থাকে ও তার উপর ঐক্যবদ্ধ থাকে এবং অন্য কোন দিকে দৃষ্টিদেয় না। এ কারণেই তাদেরকে আহলে সুন্নাত রূপে নামকরণ করা হয়েছে। কেননা তাঁরা সুন্নাহর ধারক ও বাহক। তাদেরকে আহলে জাম‘আতওবলা হয়। কারণ তাঁরা সুন্নাহর উপর জামা‘আতবদ্ধ বা ঐক্যবদ্ধ’। [36]
এ কথা পরিষ্কার যে, পরকালে মুক্তিপাপ্ত দলের অন্তর্গত হওয়ার জন্য কোন নামী-দামী দলের সদস্য হওয়া বা কোন নামকরা ইমামের অনুসারী হওয়া শর্ত নয়; বরং যথাযথভাবে পবিত্র কুরআনও ছহীহ হাদীছের অনুসরণ করা শর্ত। সুতরাং যে দল বা সংগঠনের কথা রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীছের সাথে মিলে যায়, সে দলের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। পক্ষান্তরে কোন ইমাম বা দলের কথার সাথে যদি রাসূলের হাদীছের বৈপরিত্য পাওয়া যায়, তাহ’লে দল বা ইমাম যত বড়ই হোক না কেন সে ক্ষেত্রে রাসূলের হাদীছের অনুসরণ করাই ঈমানের দাবী। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন- আমীন!
[1] . আহমাদ, নাসাঈ, হাকেম, মিশকাত হা/১৬৬; তাফসীরে ইবনে কাছীর সূরা আন‘আমের ১৫৩নং আয়াতের তাফসীর দ্রঃ ।
[2] . মুসনাদে আহমাদ হা/২৫০১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২০৪, সনদ হাসান ।
[3] . আহমাদ হা/১৬৯৭৯; ইবনু মাজাহ হা/৩৯৯২; মিশকাত হা/১৭২ ।
[4] . বুখারী হা/৩৯৯২; মুসলিম ‘ইমারত’ অধ্যায় হা/১৯২০ ।
[5] . তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/১৭২, সনদ ছহীহ, ‘কিতাব ও সুন্নাহ অাঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ ।
[6] . হাদীছটি যঈফ; তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/১৭৪-এর টিকা ‘ঈমান‘ অধ্যায়, ‘কিতাব ও সুন্নাহ অাঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ ।
[7] . যঈফ ইবনু মাজাহ হা/৭৮৮; সিলসিলা যঈফা হা/২৮৯৬ ।
[8] . ইবনু আসাকির, তারীখু দিমাশক্ব ১৩/৩২২ পৃঃ; সনদ ছহীহ, তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/১৭৩, ১/৬১ পৃঃ । ইনশাল্লাহ চলবে .............
0 comments:
Post a Comment