তিন. আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত
হচ্ছেন সালাফে ছালেহীন আহলুল কিতাব (আহলুল কুরআন) ওয়াস সুন্নাহ। রাসূল (ছাঃ)-এর
হিদায়াতের উপর আমলকারী, ছাহাবা, তাবেঈ
এবং বরেণ্য ওলামায়ে কেরামের পদাংক অনুসরণকারী, যারা
দ্বীনের মধ্যে বিদ‘আত চালু
করেননি বা তাতে কোন পরিবর্তন সাধন করেননি। আর
দ্বীনে ইতিপূর্বে ছিল না এ ধরনের নতুন কোন পথ বা মত সৃষ্টি করেননি।
চার. আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত হচ্ছে ফিরক্বায়ে নাজিয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল। ক্বিয়ামত পর্যন্ত তাঁরাই আল্লাহর মদদপুষ্ট ও সাহায্যপ্রাপ্ত দল হিসাবে টিকে থাকবে।
পাঁচ. তারা হবে সংখ্যায় কম (অপরিচিত), যখন বিদ‘আত, কুসংস্কার বৃদ্ধি পাবে এবং যুগ খারাপ হবে তখনও তারা হক্বের উপরে থাকবে।
চার. আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত হচ্ছে ফিরক্বায়ে নাজিয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল। ক্বিয়ামত পর্যন্ত তাঁরাই আল্লাহর মদদপুষ্ট ও সাহায্যপ্রাপ্ত দল হিসাবে টিকে থাকবে।
পাঁচ. তারা হবে সংখ্যায় কম (অপরিচিত), যখন বিদ‘আত, কুসংস্কার বৃদ্ধি পাবে এবং যুগ খারাপ হবে তখনও তারা হক্বের উপরে থাকবে।
ছয়. তারা হচ্ছেন আছহাবে হাদীছ বা আহলুল হাদীছ; রেওয়ায়াত, দিরায়াত, ইলম এবং আমলের দিক থেকে। [23]
এছাড়াও ‘মুক্তিপাপ্ত দল কোন্টি’ এর পরিচয় দিতে গিয়ে মুহাদ্দিছগণ ‘আহলুল হাদীছ’দের নাম উল্লেখ করেছেন। যেমন-
(ক) আবদুল্লাহ ইবনুল মোবারক বলেন, هم عندى أصحاب الحديث ‘আমার নিকটে তাঁরা হ’ল হাদীছের অনুসারী বা আহলুল হাদীছ’। [24]
(খ) ইমাম বুখারীর (রহঃ)-এর উস্তাদ আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, هم أهل الحديث ‘তাঁরা হচ্ছেন আহলুল হাদীছ’।[25]
(গ) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) বলেন, ‘যদি তারা আহলুল হাদীছ না হয়, তাহ’লে আমি জানি না তারা কারা’। [26] উল্লেখ্য যে, মাযহাব চতুষ্টয়ের তিন ইমামই আহলে
হাদীছ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। [27]
(ঘ) ইয়াযীদ ইবনে হারূণ (১১৮-২১৭ হিঃ) ও ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (১৬৪-২৪১হিঃ) বলেন, إِنْ لَّمْ يَكُوْنُوْا أَصْحَابَ الْحَدِيْثِ فَلاَ أَدْرِىْ مَنْ هُمْ؟ ‘তাঁরা যদি আহলেহাদীছ না হন, তবে আমি জানি না তারা কারা’। [28] ইমাম বুখারীও এবিষয়ে দৃঢ়মত ব্যক্ত করেছেন’। ক্বাযী আয়ায বলেন, أَرَادَ أَحْمَدُأَهْلَ السُّنَّةِ وَ مَنْ يَّعْتَقِدُ مَذْهَبَ أَهْلِ الْحَدِيْثِ ‘ইমাম আহমাদ (রহঃ) একথা দ্বারা আহলে সুন্নাত এবং যারা আহলুল হাদীছ-এর মাযহাব অনুসরণ করে, তাদেরকে বুঝিয়েছেন’। [29] ইমাম আহমাদ আরও বলেন, لَيْسَ قَوْمٌ عِنْدِىْ خَيْراً مِّنْ أَهْلِ الْحَدِيْثِ، لاَ يَعْرِفُوْنَ إِلاَّ الْحَدِيْثَ ‘আহলেহাদীছের চেয়ে উত্তম কোন দল আমার কাছে নেই। তারা হাদীছ ছাড়া অন্য কিছু চেনে না’। [30]
(ঙ) ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর প্রধান শিষ্য ইমাম আবু ইউসুফ (১১৩-১৮২ হিঃ) একদা তাঁর দরবার সন্মুখে কতিপয় আহলেহাদীছকে দেখে উল্লসিত হয়ে বলেন, مَا عَلَى الْأَرْضِ خَيْرٌ مِّنْكُمْ ‘ভূপৃষ্ঠে আপনাদের চেয়ে উত্তম আর কেউ নেই’। [31]
(চ) আহমাদ ইবনু সারীহ বলতেন, أَهْلُ الْحَدِيْثِ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِنَ الْفُقَهَاءِ لِاِعْتِنَائِهِمْ بِضَبْطِ الْأُصُوْلِ ـ ‘দলীলের উপরে কায়েম থাকার কারণে আহলেহাদীছগণের মর্যাদা ফক্বীহগণের চেয়ে অনেক ঊর্ধ্বে। [32]
(ছ) ইমাম আবূদাঊদ (২০২-২৭৫ হিঃ) বলেন, لَوْلاَ هَذِهِ الْعِصَابَةُ لَانْدَرَسَ الْإِسْلاَمُ يِعْنِىْ أَصْحَابَ الْحَدِيْثِ- ‘আহলেহাদীছ জামা‘আত যদি দুনিয়ায় না থাকত, তাহ’লে ইসলাম দুনিয়া থেকে মিটে যেত’। [33] । ইনশাল্লাহ চলবে .............
0 comments:
Post a Comment