Saturday, August 18, 2012

মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটি? পর্বঃ (৬)

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা লানত করেছেন ঐসব নারীর উপর, যারা অন্যের শরীরে নাম বা চিত্র অংকন করে এবং যারা নিজ শরীরে অন্যের দ্বারা অংকন করায়যারা ললাট বা কপালের উপরস্থ চুল উপড়িয়ে কপাল প্রশস্ত করে এবং সৌন্দর্যের জন্য রেত ইত্যাদির সাহায্যে দাঁত সরু ও দুদাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করেএসব নারী আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি বিকৃত করে ফেলেবনী আসাদ গ্রোত্রের উম্মে ইয়াকূব নামীয় এক মহিলা এই বর্ণনা শুনে ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর নিকট এসেবলল, আমি জানতে পেরেছি যে, আপনি এ ব্যাপারে লানত করেছেনতিনি বললেন, ‘আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) যার উপর লানত করেছেন, আল্লাহর কিতাবে যার প্রতি লানত করা হয়েছে, তার উপর আমি লানত করব না কেন? তখন মহিলাটি বলল, আমি তো কুরআন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছি, তাতে তো আপনি যা বলেছেন, তা পেলাম নাআব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বললেন, তুমি যদি পড়তে তবে অবশ্যই পেতেতুমি কি পড়নি, ‘রাসূল তোমাদেরকে যা নির্দেশ দেন তা গ্রহণ কর, আর যাথেকে বারণ করেন তা থেকে বিরত থাকআর আল্লাহকে ভয় করে চলো’ (হাশর ৭)

মহিলাটি বলল, হ্যঁা, নিশ্চয়ইইবনু মাসউদ (রাঃ) বললেন, ‘রাসূল (ছাঃ) এ বিষয়ে নিষেধ করেছেন। [15]
ইমাম শাফেঈ (রহঃ) একবার মক্কায় ঘোষণা করলেন,‘আমি প্রত্যেক প্রশ্নের জবাব কুরআন থেকে দিতে পারি, জিজ্ঞেস কর, যা জিজ্ঞেস করতে চাওজনৈক ব্যক্তি আরয করল, এক ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় প্রজাপতি মেরে ফেলল, এর বিধান কি? ইমাম শাফেঈ (রহঃ) সূরা হাশরের উক্ত (৭নং) আয়াতটি তেলাওয়াত করে হাদীছ থেকে এর বিধান বর্ণনা করে দিলেন। [16]

উপরের দুটি ঘটনা থেকে পরিষ্কার হয় যে, কিতাবুল্লাহ বলতে কুরআন ও হাদীছ উভয়কে বুঝায়বিষয়টি রাসূল (ছাঃ) অন্য হাদীছে ব্যাখ্যা করে বলেছেন, تَرَكْتُ فِيْكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوْا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا كِتَابَ اللهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِআমি তোমাদের নিকট দুটি বস্ত্ত ছেড়ে যাচ্ছি; যতদিন তোমরা ঐ দুটি বস্ত্তকে মযবুতভাবে ধরে থাকবে, ততদিন পথভ্রষ্ট হবে নাসে দুটি বস্ত্ত হল আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নাত। [17]
এ হাদীছে রাসূল (ছাঃ) গোমরাহী থেকে বাঁচার জন্য দুটি বস্ত্তকে অাঁকড়ে ধরার নির্দেশ দিয়েছেনএখানে রাসূল (ছাঃ) তাকীদ দিয়ে বলেছেন যে, আমার উম্মত দুটি জিনিস অাঁকড়ে ধরলে কখনো বিভ্রান্ত হবে না
ছাহাবীগণ ও সালাফে ছালেহীন সত্যের পথে থাকারজন্য ও মুক্তিপ্রাপ্ত দলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য সুন্নাতের একনিষ্ঠ অনুসরণ করেছেন এবং অন্যকে অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেনযেমন-

(
ক) আলী (রাঃ) ও আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেছেন, لا ينفع قول إلا بعملٍ، ولا عمل إلا بقولٍ، ولا قول ولا عمل إلا بنيةٍ، ولا نية إلا بموافقة السنة. ‘আমল ব্যতীত কোন কথা উপকারে আসবে না, কোন আমলও কথা ব্যতীত উপকারে আসবে নাকোন কথা ও আমল নিয়ত ব্যতীত উপকারে আসবে না, আর কোন নিয়তও উপকারে আসবে না সুন্নাতের আনুকূল্য ব্যতীত। [18]
(
খ) উবাই ইবনু কাব (রাঃ) বলেছেন, عليـكم بالسبـيل والسـنة. ‘তোমরা সঠিক পথ ও সুন্নাত অবধারিত করে নাও
[19]ইনশাল্লাহ চলবে .............

0 comments:

Post a Comment

 

Facebook fan page