(গ) প্রখ্যাত তাবেঈ যুহরী (রহঃ) বলেন, كان من مـضى من علمائنا بقول الاعةـصام بالسنة نجاة.
‘আমাদের আলেমদের মধ্য হ’তে
যাঁরা অতীত হয়েছেন, তাঁরা
বলতেন সুন্নাতকে ভালভাবে অাঁকড়ে ধরা মুক্তি (রক্ষাকবচ) স্বরূপ’। [20]
(ঘ) ইমাম মালেক (রহঃ) বলেছেন, السـنة سفـينة نوحٍ، من ركبـها نجا، ومن تخـلّف عنها غرق. ‘সুন্নাত হ’ল নূহ (আঃ)-এর নৌকা সদৃশ। যে তাতে আরোহণ করবে সে পরিত্রাণ পাবে, আর যে তা থেকে পিছে অবস্থান করবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে’। [21]
উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায় যে, মুক্তিপ্রাপ্ত দল হওয়ার জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত ও তাঁর ছাহাবীদের সুন্নাতের উপর আমল করতে হবে। রাসূলকে বাদ দিয়ে বা তাঁর ছহীহ হাদীছের বিরোধিতা করে কোন ইমাম, পীর বা কোন দলের অন্ধ অনুসরণ করে মুক্তি পাওয়া যাবে না। রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত এবং ছাহাবীদের অনুসরণের মাধ্যমে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে।
(ঘ) ইমাম মালেক (রহঃ) বলেছেন, السـنة سفـينة نوحٍ، من ركبـها نجا، ومن تخـلّف عنها غرق. ‘সুন্নাত হ’ল নূহ (আঃ)-এর নৌকা সদৃশ। যে তাতে আরোহণ করবে সে পরিত্রাণ পাবে, আর যে তা থেকে পিছে অবস্থান করবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে’। [21]
উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায় যে, মুক্তিপ্রাপ্ত দল হওয়ার জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত ও তাঁর ছাহাবীদের সুন্নাতের উপর আমল করতে হবে। রাসূলকে বাদ দিয়ে বা তাঁর ছহীহ হাদীছের বিরোধিতা করে কোন ইমাম, পীর বা কোন দলের অন্ধ অনুসরণ করে মুক্তি পাওয়া যাবে না। রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত এবং ছাহাবীদের অনুসরণের মাধ্যমে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে।
বর্তমান শতধাবিভক্ত সমাজে আমাদেরকে সঠিক দল খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আশ্রয় নিতে হবে। কুরআন ও হাদীছের আলোকে যারা হক্ব তাদেরকেই সঠিক জানতে হবে। অনেকে নিজেদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত বলে থাকেন। অথচ তাদের কাজগুলিসুন্নাত বিরোধী। সুন্নাতবিরোধী আমল করে কিভাবে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যায়?
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের পরিচয় দিতে গিয়ে আবু মুহাম্মদ আলী ইবনু হাযম আন্দালুসী (মৃত ৪৫৬ হিঃ) বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত, যাদেরকে আমরা হক্বপন্থী ও তাদের বিরোধী পক্ষকে বাতিলপন্থী বলছি তাঁরাহ’লেন, ছাহাবায়ে কেরাম, তাঁদের অনুসারী শ্রেষ্ঠ তাবেঈগণ, আহলে হাদীছগণ, ফক্বীহদের মধ্যে যারা তাঁদের অনুসারী হয়েছেন যুগে যুগে আজকের দিন পর্যন্ত এবং প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের ঐ আম জনসাধারণ যারা তাঁদের অনুসারী হয়েছেন’। [22]
রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আক্বীদা ও মাযহাব মুয়াসিরা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ নাছেরবিন আবদুল করীম আল-আকল প্রণীত ‘আহলে সুনণাত ওয়াল জামা‘আতের পরিচিতি’ নামক পুস্তকের তৃতীয় পরিচ্ছেদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন এভাবে-
এক. তাঁরা হচ্ছেন নবী করীম (ছাঃ)-এর ছাহাবীগণ। যাঁরা সুন্নাতকে জেনেছেন, তাকে সংরক্ষণ করেছেন এবং তার উপর আমল করেছেন। রিওয়ায়াত ও দিরায়াতের মাধ্যমে তা (সুন্নাত) আমাদের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন। কর্মনীতি ও কর্মসূচীর দিক হ’তে তাঁরাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের প্রকৃত দাবীদার ও হকদার। কেননা তাঁরাই যুগ, আমল এবং ইলমের দিক দিয়ে সুন্নাতের নিকটবর্তী।
দুই. এরপর হচ্ছেন ছাহাবীদের অনুসারীগণ (তাবেঈগণ), যারা তাঁদের নিকট হ’তে দ্বীনকে গ্রহণ করেছেন, দ্বীনের শিক্ষা গ্রহণ করেছেন,সে অনুযায়ী আমল করেছেন এবং তা প্রচার করেছেন। তাঁরাই তাবেঈন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত তাবেঈদের অনুসারীগণ। তারাই হচ্ছেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত। তারা একে অাঁকড়ে ধরেছেন। এতে বিদ‘আত বা নতুন কিছু চালু করেননি। আর মুমিনদের পথ ছাড়া অন্য কোনপথও অন্বেষণ করেননি।ইনশাল্লাহ চলবে .............
0 comments:
Post a Comment