জীবনে বহু মানুষ দেখেছি। অনেক বড় আলিমগণের সান্নিধ্যধন্য হয়েছি। কিন্তু আল্লাহর কসম, একটুও বাড়িয়ে বলছি না, ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গির রাহিমাহুল্লাহ এর মতো বিনয়ী, উদার, সুন্দর মন, উম্মাহর জন্য দরদী, মুখলিস, পরমত সম্মানকারী, যুগসচেতন, স্নেহ পরায়ন, উম্মাহর ঐক্য ভাবনায় বিভোর, প্রাজ্ঞ ও পণ্ডিত আমি দ্বিতীয়জন দেখিনি।
একাধিকবার বলেছি স্যার, আমাকে শায়েখ না বলে আহমাদুল্লাহ আর আপনি না বলে
তুমি করে বললে বেশি সুন্দর মানায় এবং আমি বিব্রত হওয়া থেকে রক্ষা পাই। আমি
তো আপনার ছেলে উসামার সময়বয়সী। তখন তিনি বললেন- ভাই, আমরা আলেমদের সম্মান
না দেখালে সাধারণ মানুষ কিভাবে তাঁদের মর্যাতা বুঝবে, সম্মান দেখাবে?
প্রতিবার দেশে গেলে তাঁর সাথে সাক্ষাত করতে যেতাম ঝিনাইদহের আসসুন্নাহ ট্রাস্টে। জীবনের প্রথম টিভি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলাম তাঁর সাথে। নবীন ও ছোটদের ভুলগুলো কিভাবে পরম আদরে শুধরে দিতে হয় তার জ্বলন্ত উদাহরণ ছিলেন এই মহামানব। নিজের পরম শত্রু এবং বিদ্বেষীর সাথেও আকৃত্রিম হাসি ও আন্তরিকতা দেখানোর মতো সুন্দর চরিত্র আমি কেবল তাঁর মধ্যেই দেখেছি।
এ জাতি কতো বড় একজন মানুষকে হারিয়েছে তা হয়তো উপলব্ধি করতেও অনেক সময় পার হয়ে যাবে। তিনি একমাত্র বাংলাদেশী যিনি সৌদি আরবের রিয়াদের বিশ্ববিখ্যাত আল ইমাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেকর্ড সংখ্যক নাম্বার নিয়ে শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ধাপ শেষ করেছেন। এখান থেকেই তিনি অনার্স, মাস্টার্স ও ডক্টরেট করেছেন। বর্তমান সৌদি বাদশা সালমানের হাতে দুই দুই বার সেরা ছাত্রের পুরস্কার নিয়েছেন। সৌদি আরবের বর্তমান স্কলারদের অনেকেই তাঁর সহপাঠী।
চতূর্দিকে যখন ভারসাম্যপূর্ণ লোকের দুর্ভিক্ষ চলছে, ঠিক এমন একটি সময়ে তাঁর মতো বিচক্ষণ ও উদার লোকের বড় বেশি প্রয়োজন ছিল!
হে রাব্ব, নিজের বাবাকে হারালে যেমন শোকে পাথর হয়ে যেতাম, তারচে মোটেও কম দুখ: পাইনি আমার দেখা এই শ্রেষ্ঠ মানুষটির বিদায়ে। আপনি তাঁকে আপন মাগফিতার ও রহমতের ছায়তলে ঢেকে নিন। তাঁর বিকল্প এই উম্মাহকে দান করুন। তাঁর ভালো গুনগুলো দিয়ে যেন নিজেকে সাজাতে পারি, আমাদের সেই তাউফীক দান করুন।
#শায়খ আহমাদউল্লাহ
প্রতিবার দেশে গেলে তাঁর সাথে সাক্ষাত করতে যেতাম ঝিনাইদহের আসসুন্নাহ ট্রাস্টে। জীবনের প্রথম টিভি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলাম তাঁর সাথে। নবীন ও ছোটদের ভুলগুলো কিভাবে পরম আদরে শুধরে দিতে হয় তার জ্বলন্ত উদাহরণ ছিলেন এই মহামানব। নিজের পরম শত্রু এবং বিদ্বেষীর সাথেও আকৃত্রিম হাসি ও আন্তরিকতা দেখানোর মতো সুন্দর চরিত্র আমি কেবল তাঁর মধ্যেই দেখেছি।
এ জাতি কতো বড় একজন মানুষকে হারিয়েছে তা হয়তো উপলব্ধি করতেও অনেক সময় পার হয়ে যাবে। তিনি একমাত্র বাংলাদেশী যিনি সৌদি আরবের রিয়াদের বিশ্ববিখ্যাত আল ইমাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেকর্ড সংখ্যক নাম্বার নিয়ে শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ধাপ শেষ করেছেন। এখান থেকেই তিনি অনার্স, মাস্টার্স ও ডক্টরেট করেছেন। বর্তমান সৌদি বাদশা সালমানের হাতে দুই দুই বার সেরা ছাত্রের পুরস্কার নিয়েছেন। সৌদি আরবের বর্তমান স্কলারদের অনেকেই তাঁর সহপাঠী।
চতূর্দিকে যখন ভারসাম্যপূর্ণ লোকের দুর্ভিক্ষ চলছে, ঠিক এমন একটি সময়ে তাঁর মতো বিচক্ষণ ও উদার লোকের বড় বেশি প্রয়োজন ছিল!
হে রাব্ব, নিজের বাবাকে হারালে যেমন শোকে পাথর হয়ে যেতাম, তারচে মোটেও কম দুখ: পাইনি আমার দেখা এই শ্রেষ্ঠ মানুষটির বিদায়ে। আপনি তাঁকে আপন মাগফিতার ও রহমতের ছায়তলে ঢেকে নিন। তাঁর বিকল্প এই উম্মাহকে দান করুন। তাঁর ভালো গুনগুলো দিয়ে যেন নিজেকে সাজাতে পারি, আমাদের সেই তাউফীক দান করুন।
#শায়খ আহমাদউল্লাহ
0 comments:
Post a Comment