বৈধ আয় রোজগারের সাথে কয়েকটি আমল যদি আপনি কন্টিনিউ করতে পারেন তাহলে সেটা আখিরাতের জন্য খুবই ভালো পুজি হবে ইনশা আল্লাহ।
১) ফজরের ওয়াক্তের ২০ মিনিট আগে উঠে দুই রাকাত নফল। এশার সাথেই বিতর পড়বেন এতে ওই সময় চাপ থাকবে না। এরপর কিছু খেয়ে ফজর জামাত পর্যন্ত কিছু কুরান পড়বেন। হাফেজি কুরানের অন্তত দুই পাতা।
২) ফজর পড়ে বিশ্রাম এরপর অফিস/কলেজ। অফিস/ কলেজে যাওয়ার সময় সকালের জিকির আজকার। এর মধ্যে কয়েকটা বেশ ফজিলতের সাজেস্ট করছি, কতবার এটা হিসনুল মুসলিম থেকে দেখে নিবেন,
* আল্লাহুম্মা মা আসবাহা বি মিন নিমাতিন....
* আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি.....
* ইয়া হায়্যু ইয়া কয়্যুম বি রহ্মাতিকা আস্তাগিছু....
* আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা ইলাহা ইল্লা আনতা... *বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদ্ররু মাস্মিহি শাইয়ুন...
* হাসবি আল্লাহু...
* রদিতু বিল্লাহি রব্বান...
* সুবাহানাল্লাহি অবিহামদিহি আদাদা খালকিহি...
* সুবাহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি....
* আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা....
* আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাহি...
* আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি.....
* ইয়া হায়্যু ইয়া কয়্যুম বি রহ্মাতিকা আস্তাগিছু....
* আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা ইলাহা ইল্লা আনতা... *বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদ্ররু মাস্মিহি শাইয়ুন...
* হাসবি আল্লাহু...
* রদিতু বিল্লাহি রব্বান...
* সুবাহানাল্লাহি অবিহামদিহি আদাদা খালকিহি...
* সুবাহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি....
* আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা....
* আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাহি...
৩) লাঞ্চ ব্রেকে এক পাতা কুরান
৪) অফিস থেকে ফেরার সময় বিকালে/ সন্ধ্যায় আবার আজকারগুলো
৫) বাসায় ফিরে ইসলামিক জ্ঞানার্জনের জন্য নির্ধারিত বই।
৬) এশার পর ২ পাতা কুরান
৭) নামাজগুলো ধীরে ধীরে, সময় নিয়ে রিলাক্স শরীরে হাত পা ছেড়ে দিয়ে ফুরফুরে মেজাজে পড়বেন। রুকু সিজদায় গিয়েই তাসবীহ শুরু করবেন না। বা শেষ করেই মাথা তুলবেন না। একটু সময় নিন। সব মুভমেন্টেই ধীরে। মুখ চালাবেনও ধীরে। তাড়াহুড়া করে আর কতটুকু সময়ই বা বাচাতে পারবেন!
৮) মাসিক আয়ের শতকরা ৫ ভাগ অন্তত সাদাকাহ করবেন নিয়মিত। মা বাবাকে নিয়মিত অর্থ দিলে সাদাকাহ শতকরা ২ বা ৩ ভাগ দেবেন। প্রতিমাসেই এটা করবেন।
৯) মিথ্যা কথা আর গিবত করবেন না
১০) নারী পুরুষ পর্দা মেন্টেইন করবেন। ভুল হয়ে গেলে সাথে সাথে তাওবা করবেন।
১১) মাসে অন্তত তিনদিন নফল সিয়াম পালন করবেন।
১২) সকল ক্ষেত্রে মাসনুন দোয়া পাঠ করবেন।
১৩) দুই সপ্তাহে অন্তত একবার খুব দ্বীনদার এমন কারও সাথে দেখা করতে যাবেন। কারন আমলকারীকে দেখলে যত বেশি আমলের ইচ্ছা তৈরী হয় বই পড়ে তত বেশি হয় না।
রসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, আমালে আগে বাড়ো ঘন কালো রাত্রির টুকরার মত ফিতনা আবির্ভাবের পুর্বে......
আল্লাহ সহজ করুক। আমীন।
*Source: কুরআনীয় আরবী শিক্ষা পেইজ