Saturday, July 28, 2012

মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটি? পর্বঃ (৩)


মাসঊদ (রাঃ) বলেন, الجماعة ما وافق الحق وان كنت وحدك ‘জামাআত হচ্ছে হক্বের অনুগামী হওয়া, যদিও তুমি একাকী হও। [8]
যেমন আল্লাহ ইবরাহীম (আঃ)-কে একটি দল বলেছেনতিনি বলেন, إِنَّ إِبْرَاهِيْمَ كَانَ أُمَّةً قَانِتاً لِلّهِ حَنِيْفاً وَلَمْ يَكُ 
مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ ‘নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলেনএকনিষ্ঠভাবে আল্লাহর হুকুম পালনকারী একটি উম্মত বিশেষ এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না’ (নাহল ১৬/১২০) এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইবরাহীম (আঃ)-কে أمة বাজাতি বলে ঘোষণা দিয়েছেন, যদিও তিনি ছিলেন একাএখানে আল্লাহ সংখ্যাধিক্যের দৃষ্টিতে নয়; বরং হক্বের উপরে থাকার কারণে ইবরাহীম (আঃ)-এর প্রশংসা করেছেন

আবদুল্লাহ বিন মুবারক (রহঃ)-কে জামাআত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আবূবকর ও ওমর (রাঃ)তাকে বলা হ, তাঁরাতো ইন্তেকাল করেছেনতিনি বললেন, তাহলে অমুক অমুকতাকে বলা হ, তারাও তো মৃত্যুবরণ করেছেনতখন তিনি বললেন, আবু হামযা আস-সুকরী হল জামাআতঅর্থাৎ একজন নেক ফাযেল ব্যক্তি সুন্নাত ও সালাফে ছালেহীনের পথের অনুসারীই হচ্ছেন জামাআত ও আহলে হক্বের মানুষসুতরাংসংখ্যাধিক্য এখানে বিবেচ্য নয়বরং লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে সুন্নাতের অনুসারী হওয়া এবং বিদআত পরিত্যাগ করা। [9] সুতরাং হক্বের অনুসারী একজন হলেও সে বড় দলের অন্তর্ভুক্তসংখ্যায় অধিক হলেই বড় দল বাজামাআতে হক্ব নয়অনুরূপভাবে সংখ্যাধিক্যদেখে বড় দলের অনুসরণ করলেই হক্বপন্থী হওয়া যায় নাবরং পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের নিঃশর্ত অনুসরণ করাই প্রকৃত অর্থে হক্বপন্থী হওয়ার পূর্বশর্তএই হক্বপন্থীগণই হলেন বড় জামাআতআর তারা হলেন ছাহাবায়ে কিরাম, সালাফে ছালেহীন ও তাদের যথাযথ অনুসারীগণসুতরাং যারা খুলাফায়ে রাশেদীন ও ছাহাবায়ে কেরামের মাসলাক অনুসরণে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী আমল করবেন, তারাই বড় জামাআতের অন্তর্ভুক্ত হবেনঅতএব নিঃশর্তভাবে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী আমল করতে পারলে সংখ্যায় কম হলেও তারাই হবে নাজাতপ্রাপ্ত দলপক্ষান্তরে সংখ্যায় বেশী হলেও সেখানে কুরআন ও হাদীছ মোতাবেক আমল না থাকলে সেটা হক্বপন্থী ও নাজাতপ্রাপ্ত দল নয়

অনেক সময় কোন দলে লোক সংখ্যা বেশী দেখে মানুষ মনে করে ঐ দলের লোকেরাই হক্বের পথে আছেতাদের ধারণা এত লোক মিলে কি ভুল পথে যেতে পারে? আর আমরা হক্বপন্থী হলে আমাদের সংখ্যা কম কেন? আবার অনেকে বলেও থাকেন, দশজন যেখানে আল্লাহও সেখানেএ ধারণা ঠিক নয়কারণ হক্বপন্থী হওয়ার জন্য সংখ্যায় বেশী হওয়া শর্ত নয়বরং বাতিলের সংখ্যা হক্বপন্থীদের তুলনায় বেশী হবে, এটাই স্বাভাবিকযেমন রাসূল (ছাঃ) হক্ব দল ১টি এবংবাতিল দল ৭২টি উল্লেখ করেছেনঅর্থাৎ রাসূল (ছাঃ)-এর উম্মতের ৭৩ দলের মধ্যে ৭২ দলই জাহান্নামী আর একটি দলই মাত্র জান্নাতে যাবেসুতরাং হক্বপন্থীদের সংখ্যা কম হবে, এটাই রাসূলের ভাষ্য
সাধারণভাবে কোন দলে লোক বেশী থাকাই বাতিল হওয়ার প্রমাণকারণ রাসূল (ছাঃ)-এর উম্মাতের ৭৩টি দলের মধ্যে ৭২টি দলই জাহান্নামে যাবে। ইনশাল্লাহ চলবে .............


Thursday, July 19, 2012

মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটি? পর্বঃ (২)


[2] অন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,

أَلَا إِنَّ مَنْ قَبْلَكُمْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ افْتَرَقُوْا عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِيْنَ مِلَّةً وَإِنَّ هَذِهِ الْأُمَّةَ سَتَفْتَرِقُ عَلَى ثَلاَثٍ وَّسَبْعِيْنَ ثِنْتَانِ وَسَبْعُوْنَ فِي النَّارِ وَوَاحِدَةٌ فِي الْجَنَّةِ وَهِيَ الْجَمَاعَةُ-

ওহে, অবশ্যই তোমাদের পূর্বে আহলে কিতাবগণ (ইহুদী ও নাছারা) ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিলআর নিশ্চয়ই এই উম্মত অচিরেই ৭৩ দলে বিভক্ত হবেতন্মধ্যে ৭২ দল জাহান্নামী ও একদল জান্নাতী। (জান্নাতীরা হল) একটি জামাআত বা দল। [3]
উপরোক্ত হাদীছ থেকে স্পষ্ট বুঝা গেল যে, মুসলমানদের মধ্যেই ৭২/৭৩টি দল হবেতন্মধ্যে ৭১/৭২টি দল জাহান্নামে যাবে এবং একটি দল জান্নাতে যাবেসেটিই মূলত মুক্তিপ্রাপ্ত দলঅন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) হক্বপন্থী দল প্রসঙ্গে বলেন,

لَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِِّنْ أُمَّتِيْ ظَاهِرِيْنَ عَلَى الْحَقِّ لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللهِ وَهُمْ كَذَلِكَ

আমার উম্মতের মধ্যে একটি দল সর্বদা হক্বের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে, বিরোধীরা বা পরিত্যাগকারীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা, এই অবস্থায় ক্বিয়ামত এসে যাবে, তারা ঐ অবস্থায়ই থাকবে। [4]
বর্তমানে সকল নামধারী ইসলামী দলই এই হাদীছগুলিকে উল্লেখ করে নিজেদেরকে মুক্তিপ্রাপ্ত দল বলার চেষ্টা করেআর বিরোধী দলকে পথভ্রষ্ট ৭২ দলের অন্তর্ভুক্ত বলে প্রচার করেআসলে মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোন্টি?
রাসূল (ছাঃ) স্বীয় ছাহাবীদের সম্মুখে মুক্তিপ্রাপ্ত দলের কথা বর্ণনা করলে তারা রাসূল (ছঃ)-কে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোন্টি? রাসূল (ছাঃ) ছাহাবীদের প্রশ্নের যে উত্তর দিয়েছেন, সে সম্পর্কে দুটি বর্ণনা পাওয়া যায়
(
১) রাসূল (ছাঃ) মুক্তিপ্রাপ্ত দল সম্পর্কে বলেছেন, هى الجماعة، এটা হল একটা দল। [5] এ হাদীছ থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় না যে, মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটিতাই এই অস্পষ্টতাকে পুঁজি করে অনেক দলই বলে থাকে, এখানে যেহেতু জামাআতের কথা বলা হয়েছে সেহেতু জামাআত যত বড় হবে তারাই হবে মুক্তিপ্রাপ্ত দলের অধিকারীদলীল হিসাবে একটি যঈফ হাদীছ পেশ করে যে, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা বড় জামাআতের পায়রাবী কর। [6] ইবনু মাজাহতে আনাস (রাঃ) কর্তৃক এ সম্পর্কিত একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, সে হাদীছটিও যঈফ। [7]

জামাআতের উপরোক্ত ব্যাখ্যা ঠিক নয়এই ব্যাখ্যা গ্রহণ করার আগে আমাদেরকে জামাআতের সঠিক সংজ্ঞা জানতে হবেমূলতঃ জামাআতের জন্য লোক বেশী হওয়া শর্ত নয়, হক্বের অনুসারী হওয়া শর্তজামাআতের সংজ্ঞায় প্রখ্যাত ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, الجماعة ما وافق الحق وان كنت وحدكজামাআত হচ্ছে হক্বের অনুগামী হওয়া, যদিও তুমি একাকী হও। [8]
যেমন আল্লাহ ইবরাহীম (আঃ)-কে একটি দল বলেছেন। 
 ইনশাল্লাহ চলবে .............

Monday, July 16, 2012

মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটি? পর্বঃ (১)

দুনিয়া পরকালের কর্মক্ষেত্র। দুনিয়ায় মানুষের কাজের উপর ভিত্তি করেই আল্লাহ পরকালে জান্নাতে বা জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। পরকালে জাহান্নাম থেকে বেঁচে জান্নাত লাভ করাই চূড়ান্ত মুক্তি। আর সেই মুক্তির লক্ষ্যে প্রত্যেকের উচিত পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী আমল করা। কুরআনও হাদীছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করার নির্দেশ থাকলেও মুসলমানগণ বিভিন্ন সময় আক্বীদা ও আমলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে। আর সকল দলই নিজেদেরকে মুক্তিপ্রাপ্ত দল দাবী করেছে এবং অন্যদেরকে পথভ্রষ্ট বলে আখ্যায়িত করেছে। এই মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ের ফায়ছালা কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে আমাদের জেনে নেওয়া উচিত। 

রাসূল (ছাঃ) মুক্তিপ্রাপ্ত দলের নাম বলেননি।বরং তিনি মুক্তিপ্রাপ্ত দলের বিভিন্ন গুণ ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন। ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
خَطَّ لَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطًّا بِيَدِهِ ثُمَّ قَالَ هَذَا سَبِيْلُ اللهِ مُسْتَقِيْمًا ، و َخَطَّ خُطُوْطًا عَنْ يَمِيْنِهِ وَشِمَالِهِ ، ثُمَّ قَالَ هَذِهِ السُّبُلُ وَلَيْسَ مِنْهَا سَبِيْلٌ إِلَّا عَلَيْهِ شَيْطَانٌ يَدْعُو إِلَيْهِ ثُمَّقَرَأَ قوله تعالى وَأَنَّ هَـذَا صِرَاطِيْ مُسْتَقِيْماً فَاتَّبِعُوْهُ وَلاَ تَتَّبِعُواْ السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَن سَبِيْلِهِذَلِكُمْ وَصَّاكُم بِهِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ-
‘আমাদের জন্য রাসূল (ছাঃ) নিজ হাতে একটা দাগ টানলেন, অতঃপর বললেন, ‘এটা আল্লাহ তা‘আলার সোজা ও সঠিক রাস্তা। অতঃপর তাঁর ডানে ও বামে আরো কিছু দাগ টানলেন। তারপর বললেন, এগুলি অন্য রাস্তা যাদের প্রত্যেকটার শুরুতে শয়তান বসে মানুষদেরকে তার দিকে ডাকছে। তারপর আল্লাহর বাণী পড়লেন, ‘এটাই আমার সোজা ও সঠিক রাস্তা। সুতরাং তোমরা অবশ্যই এর অনুসরণ করবে এবং অন্যান্য রাস্তাসমূহের অনুসরণ করো না, তাহ’লে এ রাস্তাসমূহ তোমাদেরকে তাঁর রাস্তা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। তিনি এভাবেই তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন, যাতে তোমরা মুত্তাক্বী হ’তে পার’ (আন‘আম ৬/১৫৩) । [1] এ হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয় যে, মুক্তির জন্য একটি সঠিক রাস্তা ছাড়াও শয়তানের তৈরী বিভিন্ন ভ্রান্ত রাস্তা থাকবে। 


অন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) উম্মতে মুহাম্মাদীরবিভক্তির কথা উল্লেখ করে মুক্তিপ্রাপ্তদের বর্ণনা দিয়ে বলেন,
إِنَّ بَنِيْ إِسْرَائِيلَ تَفَرَّقَتْ عَلَى إِحْدَى وَسَبْعِيْنَ فِرْقَةً فَهَلَكَتْ سَبْعُوْنَ فِرْقَةً وَخَلَصَتْ فِرْقَةٌ وَاحِدَةٌ وَإِنَّ أُمَّتِيْ سَتَفْتَرِقُ عَلَى اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِيْنَ فِرْقَةً فَتَهْلِكُ إِحْدَى وَسَبْعِيْنَ وَتَخْلُصُ فِرْقَةٌ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ مَنْ تِلْكَالْفِرْقَةُ، قَالَ الْجَمَاعَةُ الْجَمَاعَةُ-
‘নিশ্চয়ই বনী ইসরাঈলরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৭০ দল ধ্বংস হয়ে গেছেএবং একটি দল নাজাত পেয়েছে। আর আমার উম্মত অচিরেই ৭২ দলে বিভক্ত হয়ে যাবে। তাদের মধ্যে ৭১ দল ধ্বংস হবে (জাহান্নামে যাবে) এবংএকটি দল মুক্তিপ্রাপ্ত হবে।
 
ছাহাবাগণ বললেন, মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোন্টি? রাসূল (ছাঃ) বললেন, তারা একটি দল, তারা একটি দল’।
 ইনশাল্লাহ চলবে ...............

Monday, July 9, 2012

বাংলা হাদিসঃ পর্ব (২)

সুবহানাল্লাহ ! আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর সৃষ্টির প্রতিটি প্রাণীর রিযিকের ব্যবস্থা করে রেখেছেন !:
উমার বিন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনরাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমরা যদি যথার্থই আল্লাহর উপর নির্ভরশীল হতে, তবে পাখীদের যেভাবে রিযিক দেয়া হয় সেভাবে রিযিক দেয়া হতএরা সকালে খালি পেটে বের হয় এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে” [তিরমিযী: ২৩৪৪, হাসান]
আব্দল্লাহ ইবনে মাসাউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব ( কুরআন মাজীদ) এর একটি বর্ণ পাঠ করবে ,তার একটি নেকী হবেআর একটি নেকি দশটি নেকীর সমান হয়আমি বলছি না যে, ‘আলিফ-লাম-মীমএকটি বর্ণ ; বরং আলিফ একটি বর্ণ, লাম একটি বর্ণ, মীম একটি বর্ণ ’’ (অর্থাৎ, তিনটি বর্ণ দ্বারা গঠিত আলিফ-লাম-মীম’, যার নেকীর সংখ্যা হবে তিরিশ।)
(
তিরমিযী ২৯১০, হাসান)
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযু করল, অতঃপর জুম্মা পড়তে এল এবং মনোযোগ সহকারে খুতবাহ শুনল, সে ব্যক্তির এই জুম্মা ও (আগামী) জুম্মার মধ্যেকার এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের (ছোট) পাপসমূহ মাফ করে দেয়া হলআর যে ব্যক্তি

Friday, July 6, 2012

বাংলা হাদিসঃ পর্ব (১)

আল্লাহর সন্তুষ্টি পেতে চান? :
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ সেই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে বান্দা কিছু খেলে আল্লাহর প্রশংসা করে এবং কিছু পান করলেও আল্লাহর প্রশংসা করে (অর্থাৎ আলহামদুলিল্লাহ পড়ে)” [মুসলিম ২৭৩৪] 
আবু মাসউদ বদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের মধ্যে একটি লোকের হিসাব নেওয়া হয়েছিলতার একটি মাত্র সৎকর্ম ব্যতিরেকে আর কোন ভাল কাজ পাওয়া যায়নিসেটি হল এই যে, সে লোক সমাজে মিলেমিশে থাকতোসে ছিল স্বচ্ছল (বিত্তশালী) ব্যক্তিনিজ চাকরদেরকে গরীব ঋণগ্রস্তদের ঋণ মউকুফ করার নির্দেশ দিত। (এসব দেখে) আল্লাহ আযযা ওয়াজাল্ল বললেন, ‘আমি তো ওর চাইতে বেশী ক্ষমা প্রদানের অধিকারী। (হে ফেরেশতাবর্গ!) তোমরা ওকে মাফ করে দাও
 

Facebook fan page