মাসঊদ (রাঃ) বলেন, الجماعة ما وافق الحق وان كنت وحدك ‘জামা‘আত হচ্ছে হক্বের অনুগামী হওয়া, যদিও তুমি একাকী হও’। [8]
যেমন আল্লাহ ইবরাহীম (আঃ)-কে একটি দল বলেছেন।তিনি বলেন, إِنَّ إِبْرَاهِيْمَ كَانَ أُمَّةً قَانِتاً لِلّهِ حَنِيْفاً وَلَمْ يَكُ
যেমন আল্লাহ ইবরাহীম (আঃ)-কে একটি দল বলেছেন।তিনি বলেন, إِنَّ إِبْرَاهِيْمَ كَانَ أُمَّةً قَانِتاً لِلّهِ حَنِيْفاً وَلَمْ يَكُ
مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ ‘নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলেনএকনিষ্ঠভাবে
আল্লাহর হুকুম পালনকারী একটি উম্মত বিশেষ এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না’ (নাহল ১৬/১২০) । এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ইবরাহীম (আঃ)-কে أمة বাজাতি
বলে ঘোষণা দিয়েছেন, যদিও তিনি ছিলেন একা। এখানে আল্লাহ সংখ্যাধিক্যের দৃষ্টিতে
নয়; বরং হক্বের উপরে থাকার কারণে ইবরাহীম (আঃ)-এর
প্রশংসা করেছেন।
আবদুল্লাহ বিন মুবারক (রহঃ)-কে জামা‘আত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, আবূবকর ও ওমর (রাঃ)। তাকে বলা হ’ল, তাঁরাতো ইন্তেকাল করেছেন। তিনি বললেন, তাহ’লে অমুক অমুক। তাকে বলা হ’ল, তারাও তো মৃত্যুবরণ করেছেন। তখন তিনি বললেন, আবু হামযা আস-সুকরী হ’ল জামা‘আত। অর্থাৎ একজন নেক ফাযেল ব্যক্তি সুন্নাত ও সালাফে ছালেহীনের পথের অনুসারীই হচ্ছেন জামা‘আত ও আহলে হক্বের মানুষ। সুতরাংসংখ্যাধিক্য এখানে বিবেচ্য নয়। বরং লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে সুন্নাতের অনুসারী হওয়া এবং বিদ‘আত পরিত্যাগ করা’। [9] সুতরাং হক্বের অনুসারী একজন হ’লেও সে বড় দলের অন্তর্ভুক্ত। সংখ্যায় অধিক হ’লেই বড় দল বাজামা‘আতে হক্ব নয়। অনুরূপভাবে সংখ্যাধিক্যদেখে বড় দলের অনুসরণ করলেই হক্বপন্থী হওয়া যায় না। বরং পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের নিঃশর্ত অনুসরণ করাই প্রকৃত অর্থে হক্বপন্থী হওয়ার পূর্বশর্ত। এই হক্বপন্থীগণই হ’লেন বড় জামা‘আত। আর তারা হ’লেন ছাহাবায়ে কিরাম, সালাফে ছালেহীন ও তাদের যথাযথ অনুসারীগণ। সুতরাং যারা খুলাফায়ে রাশেদীন ও ছাহাবায়ে কেরামের মাসলাক অনুসরণে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী আমল করবেন, তারাই বড় জামা‘আতের অন্তর্ভুক্ত হবেন। অতএব নিঃশর্তভাবে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী আমল করতে পারলে সংখ্যায় কম হ’লেও তারাই হবে নাজাতপ্রাপ্ত দল। পক্ষান্তরে সংখ্যায় বেশী হ’লেও সেখানে কুরআন ও হাদীছ মোতাবেক আমল না থাকলে সেটা হক্বপন্থী ও নাজাতপ্রাপ্ত দল নয়।
অনেক সময় কোন দলে লোক সংখ্যা বেশী দেখে মানুষ মনে করে ঐ দলের লোকেরাই হক্বের পথে আছে। তাদের ধারণা এত লোক মিলে কি ভুল পথে যেতে পারে? আর আমরা হক্বপন্থী হ’লে আমাদের সংখ্যা কম কেন? আবার অনেকে বলেও থাকেন, দশজন যেখানে আল্লাহও সেখানে। এ ধারণা ঠিক নয়। কারণ হক্বপন্থী হওয়ার জন্য সংখ্যায় বেশী হওয়া শর্ত নয়। বরং বাতিলের সংখ্যা হক্বপন্থীদের তুলনায় বেশী হবে, এটাই স্বাভাবিক। যেমন রাসূল (ছাঃ) হক্ব দল ১টি এবংবাতিল দল ৭২টি উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ রাসূল (ছাঃ)-এর উম্মতের ৭৩ দলের মধ্যে ৭২ দলই জাহান্নামী আর একটি দলই মাত্র জান্নাতে যাবে। সুতরাং হক্বপন্থীদের সংখ্যা কম হবে, এটাই রাসূলের ভাষ্য।
সাধারণভাবে কোন দলে লোক বেশী থাকাই বাতিল হওয়ার প্রমাণ। কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর উম্মাতের ৭৩টি দলের মধ্যে ৭২টি দলই জাহান্নামে যাবে।
0 comments:
Post a Comment