Saturday, August 18, 2012

মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটি? পর্বঃ (১০) শেষ পর্ব


[9] . ড. নাছের বিন আব্দুল করীম আল-আকল, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের পরিচিতি, অনুঃ মুহাম্মদ শামাউন আলী, (ঢাকা : ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংস্থা, জানুয়ারী ১৯৯৭), পৃঃ ৬৪
[10] .
মুসলিম হা/১৪৫; মিশকাত হা/১৫৯ কুরআন ও সুন্নাহ অাঁকড়ে ধরাঅনুচ্ছেদ
[11] .
ছহীহ তিরমিযী হা/২১২৯; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৩৪৮; হাকেম ১/১২৯; আহমাদ বিন হাম্বল, সুন্নাতের মূলনীতি, বাংলায় ইসলাম, (ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সংস্করণ, এপ্রিল ২০০২), পৃঃ ২৪
[12] .
তিরমিযী হা/২৬৪১; মিশকাত হা/১৭১ কুরআন ও সুন্নাহ দৃঢ়ভাবে অাঁকড়ে ধরাঅনুচ্ছেদ; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১০৪৮
[13] .
আবূ দাউদ হা/৪৬০৭; তিরমিযী হা/২৬৭৬; ইবনু মাজাহ হা/৪২৪৪; আহমাদ হা/১৬৬৯৪; ইবনু খুযায়মা, ‘জুমঅধ্যায় হা/১৭৮৫; মিশকাত হা/১৬৫; রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১৫৭
[14] .
মুসলিম, বাংলা মিশকাত মানাসিকঅধ্যায় বিদায় হজ্জের ভাষণঅনুচ্ছেদ, হা/২৪৪০
[15] .
বুখারী, ‘কিতাবুত তাফসীর’, সূরা হাশর, হা/৪৫১৮
[16] .
সুয়ুতী, আল-ইতক্বান ২/১২৬
[17] .
হাকেম ১/৯৩; মুওয়াত্ত্বা কদরঅধ্যায়; মিশকাত হা/১৮৩
[18] .
আজুররী, কিতাবুশ শরীআত, পৃঃ ১২৩গৃহীত: বায়হাক্বী আল-খুত্বাস সালীমাহ ফী বায়ানিউজুবি ইত্তিবাইস সুন্নাহ আল-ক্বারীমা, পৃঃ ৫
[19] .
শরহু উছুলিল ইতিকাদি আহলিস সুন্নাহ, ১/৫৬; আল-খুত্বাস সালীমাহ ফী বায়ানি উজুবি ইত্তিবাইস সুন্নাহ আল-ক্বারীমা, পৃঃ ৬
[20] .
সুনানুদ দারেমী, মুক্বাদ্দামাহ, আছার নং ৯৬, সনদ ছহীহ
[21] .
আল-খুত্বাস সালীমাহ ফী বায়ানি উজুবি ইত্তিবাইস সুন্নাহ আল-ক্বারীমা, পৃঃ ৬
[22] .
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল গালিব, আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন, ৫ম সংস্করণ, পৃঃ১০
[23] .
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের পরিচিতি,পৃঃ ৮২-৮৩
[24] .
শায়খ মুহাম্মদ বিন জামিল, আল-ফিরকাতুননাজিয়াহ, ‘মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটিঅনুচ্ছেদ
[25] .

[26] .
তিরমিযী, ফাৎহুল বারী, ১৩/৩০৬ হা/৭৩১১-এর ব্যাখ্যা; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭০-এর ব্যাখ্যা
[27] .
মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম, ইসলামী শরীয়াতের উৎস (ঢাকা : আধুনিক প্রকাশনী, আগষ্ট ১৯৯৪), পৃঃ ৬৯-৭১
[28] .
তিরমিযী, মিশকাত হা/৬২৮৩ -এর ব্যাখ্যা; ফাৎহুল বারী ১৩/৩০৬ হা/৭৩১১-এর ব্যাখ্যা; সিলসিলা ছাহীহাহ হা/২৭০-এর ব্যাখ্যা; শারফ, পৃঃ ১৫
[29] .
ফাৎহুল বারী ইলমঅধ্যায় ১/১৯৮ হা/৭১-এর ব্যাখ্যা
[30] .
আবুবকর আল-খত্বীব বাগদাদী, শারফু আছহাবিল হাদীছ পৃঃ ২৭
[31] .
শারফ, পৃঃ ২৮; আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন? পৃঃ ১৩
[32] .
আব্দুল ওয়াহ্হাব শারানী, মীযানুল কুবরা (দিল­ী: ১২৮৬ হিঃ) ১/৬২ পৃঃ
[33] .
শারফ ২৯ পৃঃ; আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন? পৃঃ ১৩
[34] .
শারফ ২৭ পৃঃ; আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন? পৃঃ ১৩
[35] .
আহমাদ ইবনু তাইমিয়াহ, মিনহাজুস সুন্নাহ (বৈরুত: দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ, তাবি) ২/১৭৯ পৃঃ
[36] .
ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, (ঢাকা : তাওহীদপাবলিকেশন্স, দ্বিতীয় প্রকাশ, ডিসেম্বর ২০০৭), পৃঃ ৬০  সমাপ্ত

মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটি? পর্বঃ (৯)


(জ) ওছমান ইবনু আবী শায়বা একদা কয়েকজন আহলেহাদীছকে হয়রান অবস্থায় দেখে মন্তব্য করেন যে, إنَّ فَاسِقَهُمْ خَيْرٌ مِنْ عَابِدِ غَيْرِهِمْআহলেহাদীছের একজন ফাসিক্ব ব্যক্তি অন্য দলের একজন আবিদের চেয়েও উত্তম। [34]
(
ঝ) ইমাম আহমাদ ইবনু তায়মিয়াহ (৬৬১-৭২৮ হিঃ) বলেন,
مِنَ الْمَعْلُوْمِ لِكُلِّ مَنْ لَهُ خِبْرَةٌ أَنَّ أَهْلَ الْحَدِيْثِ مِنْ أَعْظَمِالنَّاسِ بَحْثًا عَنْ أَقْوَالِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ وَ طَلَبًا لِّعِلْمِهَا وَ أَرْغَبِ النَّاسِ فِىْ اِتِّبَاعِهَا وَ أَبْعَدِ النَّاسِ عَنِ اتَّبَاعِ هَوًى يُخَالِفُهَا ... فَهُمْ فِىْ أَهْلِ الْإِسْلاَمِ كَأَهْلِ الْإِسْلاَمِ فِىْ أَهْلِ الْمِلَلِ ـ
যার কিছুটা অভিজ্ঞতা রয়েছে, তার এটা জানা কথা যে, আহলেহাদীছগণ হলেন, মুসলমানদের মধ্যে রাসূলুল­াহ (ছাঃ)-এর বাণীসমূহের ও তাঁর ইল্মের অধিক সন্ধানী ও সে সবের অনুসরণের প্রতি অধিক আগ্রহশীল এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ হতে সর্বাধিক দূরে অবস্থানকারী, যার বিরোধীতা সে করে থাকে।... মুসলমানদের মধ্যে তাদের অবস্থান এমন মর্যাদাপূর্ণ, যেমন সকল জাতির মধ্যে মুসলমানদের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান। [35]

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত কারা এ প্রশ্নের জবাবে শায়খ মুহাম্মদ বিন ছালিহ আল-উছায়মীন (রহঃ) বলেন, ‘আহলে সুনণাত ওয়াল জামাআত তারাই, যারা আক্বীদা ও আমলের ক্ষেত্রে সুন্নাতকে অাঁকড়ে ধরে থাকে ও তার উপর ঐক্যবদ্ধ থাকে এবং অন্য কোন দিকে দৃষ্টিদেয় নাএ কারণেই তাদেরকে আহলে সুন্নাত রূপে নামকরণ করা হয়েছেকেননা তাঁরা সুন্নাহর ধারক ও বাহকতাদেরকে আহলে জামআতওবলা হয়কারণ তাঁরা সুন্নাহর উপর জামাআতবদ্ধ বা ঐক্যবদ্ধ। [36]

এ কথা পরিষ্কার যে, পরকালে মুক্তিপাপ্ত দলের অন্তর্গত হওয়ার জন্য কোন নামী-দামী দলের সদস্য হওয়া বা কোন নামকরা ইমামের অনুসারী হওয়া শর্ত নয়; বরং যথাযথভাবে পবিত্র কুরআনও ছহীহ হাদীছের অনুসরণ করা শর্তসুতরাং যে দল বা সংগঠনের কথা রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীছের সাথে মিলে যায়, সে দলের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করতে হবেপক্ষান্তরে কোন ইমাম বা দলের কথার সাথে যদি রাসূলের হাদীছের বৈপরিত্য পাওয়া যায়, তাহলে দল বা ইমাম যত বড়ই হোক না কেন সে ক্ষেত্রে রাসূলের হাদীছের অনুসরণ করাই ঈমানের দাবীআল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন- আমীন!

[1] .
আহমাদ, নাসাঈ, হাকেম, মিশকাত হা/১৬৬; তাফসীরে ইবনে কাছীর সূরা আনআমের ১৫৩নং আয়াতের তাফসীর দ্রঃ
[2] .
মুসনাদে আহমাদ হা/২৫০১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২০৪, সনদ হাসান
[3] .
আহমাদ হা/১৬৯৭৯; ইবনু মাজাহ হা/৩৯৯২; মিশকাত হা/১৭২
[4] .
বুখারী হা/৩৯৯২; মুসলিম ইমারতঅধ্যায় হা/১৯২০
[5] .
তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/১৭২, সনদ ছহীহ, ‘কিতাব ও সুন্নাহ অাঁকড়ে ধরাঅনুচ্ছেদ
[6] .
হাদীছটি যঈফ; তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/১৭৪-এর টিকা ঈমানঅধ্যায়, ‘কিতাব ও সুন্নাহ অাঁকড়ে ধরাঅনুচ্ছেদ
[7] .
যঈফ ইবনু মাজাহ হা/৭৮৮; সিলসিলা যঈফা হা/২৮৯৬
[8] .
ইবনু আসাকির, তারীখু দিমাশক্ব ১৩/৩২২ পৃঃ; সনদ ছহীহ, তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/১৭৩, ১/৬১ পৃঃ ইনশাল্লাহ চলবে .............

মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটি? পর্বঃ (৮)


তিন. আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত হচ্ছেন সালাফে ছালেহীন আহলুল কিতাব (আহলুল কুরআন) ওয়াস সুন্নাহরাসূল (ছাঃ)-এর হিদায়াতের উপর আমলকারী, ছাহাবা, তাবেঈ এবং বরেণ্য ওলামায়ে কেরামের পদাংক অনুসরণকারী, যারা দ্বীনের মধ্যে বিদআত চালু করেননি বা তাতে কোন পরিবর্তন সাধন করেননিআর দ্বীনে ইতিপূর্বে ছিল না এ ধরনের নতুন কোন পথ বা মত সৃষ্টি করেননি
চার. আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত হচ্ছে ফিরক্বায়ে নাজিয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দলক্বিয়ামত পর্যন্ত তাঁরাই আল্লাহর মদদপুষ্ট ও সাহায্যপ্রাপ্ত দল হিসাবে টিকে থাকবে
পাঁচ. তারা হবে সংখ্যায় কম (অপরিচিত), যখন বিদআত, কুসংস্কার বৃদ্ধি পাবে এবং যুগ খারাপ হবে তখনও তারা হক্বের উপরে থাকবে

ছয়. তারা হচ্ছেন আছহাবে হাদীছ বা আহলুল হাদীছ; রেওয়ায়াত, দিরায়াত, ইলম এবং আমলের দিক থেকে। [23]
এছাড়াও মুক্তিপাপ্ত দল কোন্টিএর পরিচয় দিতে গিয়ে মুহাদ্দিছগণ আহলুল হাদীছদের নাম উল্লেখ করেছেনযেমন-
(
ক) আবদুল্লাহ ইবনুল মোবারক বলেন, هم عندى أصحاب الحديثআমার নিকটে তাঁরা হল হাদীছের অনুসারী বা আহলুল হাদীছ। [24]
(
খ) ইমাম বুখারীর (রহঃ)-এর উস্তাদ আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, هم أهل الحديثতাঁরা হচ্ছেন আহলুল হাদীছ।[25]
(
গ) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) বলেন, ‘যদি তারা আহলুল হাদীছ না হয়, তাহলে আমি জানি না তারা কারা। [26] উল্লেখ্য যে, মাযহাব চতুষ্টয়ের তিন ইমামই আহলে
হাদীছ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। [27]

(
ঘ) ইয়াযীদ ইবনে হারূণ (১১৮-২১৭ হিঃ) ও ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (১৬৪-২৪১হিঃ) বলেন, إِنْ لَّمْ يَكُوْنُوْا أَصْحَابَ الْحَدِيْثِ فَلاَ أَدْرِىْ مَنْ هُمْ؟তাঁরা যদি আহলেহাদীছ না হন, তবে আমি জানি না তারা কারা। [28] ইমাম বুখারীও এবিষয়ে দৃঢ়মত ব্যক্ত করেছেনক্বাযী আয়ায বলেন, أَرَادَ أَحْمَدُأَهْلَ السُّنَّةِ وَ مَنْ يَّعْتَقِدُ مَذْهَبَ أَهْلِ الْحَدِيْثِইমাম আহমাদ (রহঃ) একথা দ্বারা আহলে সুন্নাত এবং যারা আহলুল হাদীছ-এর মাযহাব অনুসরণ করে, তাদেরকে বুঝিয়েছেন। [29] ইমাম আহমাদ আরও বলেন, لَيْسَ قَوْمٌ عِنْدِىْ خَيْراً مِّنْ أَهْلِ الْحَدِيْثِ، لاَ يَعْرِفُوْنَ إِلاَّ الْحَدِيْثَআহলেহাদীছের চেয়ে উত্তম কোন দল আমার কাছে নেইতারা হাদীছ ছাড়া অন্য কিছু চেনে না। [30]

(
ঙ) ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর প্রধান শিষ্য ইমাম আবু ইউসুফ (১১৩-১৮২ হিঃ) একদা তাঁর দরবার সন্মুখে কতিপয় আহলেহাদীছকে দেখে উল্লসিত হয়ে বলেন, مَا عَلَى الْأَرْضِ خَيْرٌ مِّنْكُمْভূপৃষ্ঠে আপনাদের চেয়ে উত্তম আর কেউ নেই। [31]
(
চ) আহমাদ ইবনু সারীহ বলতেন, أَهْلُ الْحَدِيْثِ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِنَ الْفُقَهَاءِ لِاِعْتِنَائِهِمْ بِضَبْطِ الْأُصُوْلِ ـদলীলের উপরে কায়েম থাকার কারণে আহলেহাদীছগণের মর্যাদা ফক্বীহগণের চেয়ে অনেক ঊর্ধ্বে। [32]
(
ছ) ইমাম আবূদাঊদ (২০২-২৭৫ হিঃ) বলেন, لَوْلاَ هَذِهِ الْعِصَابَةُ لَانْدَرَسَ الْإِسْلاَمُ يِعْنِىْ أَصْحَابَ الْحَدِيْثِ- ‘আহলেহাদীছ জামাআত যদি দুনিয়ায় না থাকত, তাহলে ইসলাম দুনিয়া থেকে মিটে যেত। [33] । ইনশাল্লাহ চলবে .............

মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটি? পর্বঃ (৭)


(গ) প্রখ্যাত তাবেঈ যুহরী (রহঃ) বলেন, كان من مـضى من علمائنا بقول الاعةـصام بالسنة نجاة. ‘আমাদের আলেমদের মধ্য হতে যাঁরা অতীত হয়েছেন, তাঁরা বলতেন সুন্নাতকে ভালভাবে অাঁকড়ে ধরা মুক্তি (রক্ষাকবচ) স্বরূপ। [20]
(
ঘ) ইমাম মালেক (রহঃ) বলেছেন, السـنة سفـينة نوحٍ، من ركبـها نجا، ومن تخـلّف عنها غرق. ‘সুন্নাত হল নূহ (আঃ)-এর নৌকা সদৃশযে তাতে আরোহণ করবে সে পরিত্রাণ পাবে, আর যে তা থেকে পিছে অবস্থান করবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে। [21]
উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায় যে, মুক্তিপ্রাপ্ত দল হওয়ার জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত ও তাঁর ছাহাবীদের সুন্নাতের উপর আমল করতে হবেরাসূলকে বাদ দিয়ে বা তাঁর ছহীহ হাদীছের বিরোধিতা করে কোন ইমাম, পীর বা কোন দলের অন্ধ অনুসরণ করে মুক্তি পাওয়া যাবে নারাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত এবং ছাহাবীদের অনুসরণের মাধ্যমে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে

বর্তমান শতধাবিভক্ত সমাজে আমাদেরকে সঠিক দল খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আশ্রয় নিতে হবেকুরআন ও হাদীছের আলোকে যারা হক্ব তাদেরকেই সঠিক জানতে হবেঅনেকে নিজেদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বলে থাকেনঅথচ তাদের কাজগুলিসুন্নাত বিরোধীসুন্নাতবিরোধী আমল করে কিভাবে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যায়?
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের পরিচয় দিতে গিয়ে আবু মুহাম্মদ আলী ইবনু হাযম আন্দালুসী (মৃত ৪৫৬ হিঃ) বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত, যাদেরকে আমরা হক্বপন্থী ও তাদের বিরোধী পক্ষকে বাতিলপন্থী বলছি তাঁরাহলেন, ছাহাবায়ে কেরাম, তাঁদের অনুসারী শ্রেষ্ঠ তাবেঈগণ, আহলে হাদীছগণ, ফক্বীহদের মধ্যে যারা তাঁদের অনুসারী হয়েছেন যুগে যুগে আজকের দিন পর্যন্ত এবং প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের ঐ আম জনসাধারণ যারা তাঁদের অনুসারী হয়েছেন। [22]
রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আক্বীদা ও মাযহাব মুয়াসিরা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ নাছেরবিন আবদুল করীম আল-আকল প্রণীত আহলে সুনণাত ওয়াল জামাআতের পরিচিতিনামক পুস্তকের তৃতীয় পরিচ্ছেদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন এভাবে-

এক. তাঁরা হচ্ছেন নবী করীম (ছাঃ)-এর ছাহাবীগণযাঁরা সুন্নাতকে জেনেছেন, তাকে সংরক্ষণ করেছেন এবং তার উপর আমল করেছেনরিওয়ায়াত ও দিরায়াতের মাধ্যমে তা (সুন্নাত) আমাদের নিকট পৌঁছে দিয়েছেনকর্মনীতি ও কর্মসূচীর দিক হতে তাঁরাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের প্রকৃত দাবীদার ও হকদারকেননা তাঁরাই যুগ, আমল এবং ইলমের দিক দিয়ে সুন্নাতের নিকটবর্তী
দুই. এরপর হচ্ছেন ছাহাবীদের অনুসারীগণ (তাবেঈগণ), যারা তাঁদের নিকট হতে দ্বীনকে গ্রহণ করেছেন, দ্বীনের শিক্ষা গ্রহণ করেছেন,সে অনুযায়ী আমল করেছেন এবং তা প্রচার করেছেনতাঁরাই তাবেঈন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত তাবেঈদের অনুসারীগণতারাই হচ্ছেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআততারা একে অাঁকড়ে ধরেছেনএতে বিদআত বা নতুন কিছু চালু করেননিআর মুমিনদের পথ ছাড়া অন্য কোনপথও অন্বেষণ করেননিইনশাল্লাহ চলবে .............
 

Facebook fan page